আমাদের কিছু কথা
আমরা জানি বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিডনীর কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬০ এর উপরে যাদের বয়স তাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন দীর্ঘস্থায়ী কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়। যেহেতু প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না, তাই নিরবে এই ঘাতকব্যাধি কিডনীকে নিঃশেষ করে দেয়। এ রোগ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করতে হলে আজই আপনার কিডনী পরীক্ষা করিয়ে নিন।
যদি যৌবন থেকেই আমরা সুস্থ্য জীবন প্রণালী চর্চা করি তাহলে বৃদ্ধ বয়সএও সুস্থ্য থাকবো। প্রতিরোধ করা যাবে অন্যান্য জীবন সংহারী রোগ বালাই।
কিডনী ভাল ও সুস্থ্য রাখার ১০ টি উপায়
- ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা এবং প্রস্রাবের অ্যালবুমিন পরীক্ষা করা ও রক্তের হিমোগ্লোবিন এ – ওয়ান সি (HbA1c) ৭ এর নিচে রাখা।
- উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখা ( ১৩০/৮০ এর নিচে, যাদের প্রস্রাবে অ্যালবুমিন থাকে তাদের ১২০/৭০ এর নিচে )।
- ডায়াবেটিস উচ্চরক্ত চাপে আক্রান্ত রোগীদের কিডনী কার্যকারীতা প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর পরীক্ষা করা।
- শিশুদের গলা বাথ্যা, জ্বর ও ত্বকে খোশ-পাঁচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিৎ। কারণ এগুলো থেকে কিডনী প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে।
- ডায়েরিয়া, বমি ও রক্ত আমাশয় এর কারণে রক্ত, পানি ও লবণ শূন্য হয়ে কিডনী বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।
- ধুমপান বর্জন করুন, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- চর্বি জাতীয় খাবার ও লবণ কম খাবেন এবং পরিমিত পানি পান করবেন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যাথার ঔষধ সেবন না করা।
- প্রসাবে ঘনঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
- পাচঁ রঙের সবজি খাবেন, বেশী করে ফল খাবেন।